পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে স্কুল খুলব, তখনই আবার নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা এলো।কাজেই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করেই ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি।এর মধ্যে যদি অবস্থা ভালো হয়, (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খোলা হবে। যদি না হয়, আমরা তা করব না।কিন্তু আমরা মনে করি, বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তবে পরিস্থিতি ভালো না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী । তবে তিনি বলেন, অনলাইনে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধনের সময় তিনি এই কথা জানান।প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিনামূল্যে বই বিতরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি কখনো উন্নত হতে পারে না।আমরা জাতিকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চাই, দারিদ্রমুক্ত করতে চাই।আমি জানি, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো দারিদ্রমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।তাই আমরা শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অভিভাবক, তাদের (শিক্ষার্থীদের) ভার লাঘব করার জন্য আমরা বিনা পয়সায় বই বিতরণের কাজ শুরু করি ২০১০ সাল থেকে। সেসময় আসলেই এটা কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু তারপরও আমরা এটা শুরু করে দিয়েছি।সেইসঙ্গে আমাদের যে শিক্ষার্থীরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তাঁদের জন্য ব্রেইল বই এ ছাড়া আমাদের যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে, যেমন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী—তাদের ভাষায় আমরা বই বিতরণ করে যাচ্ছি, যাতে তারা মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঘরে বসে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।রোনার সুযোগে ঘরে থাকা ছেলেমেয়েদের সময় দিতে হবে বাবা-মাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,করোনায় অর্থনৈতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ চলমান রেখেছে সরকার।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা আরও আধুনিক করতে চায় সরকার। সরকার আইসিটি শিক্ষা ও সর্বোপরি শিক্ষারও মান বাড়াতে চায় বলেও জানান শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বই বিতরণ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।