আল জাজিরার প্রতিবেদন বিশেষ গোষ্ঠীর প্ররোচণায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে করা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনটিকে হলুদ সাংবাদিকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এটি ‘তথ্যভিত্তিক নয় এবং এটা হলুদ সাংবাদিকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।একইসঙ্গে এমন প্রতিবেদনকে ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।
একটি বিশেষ গোষ্ঠী নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এটি করেছে।বাংলাদেশকে হেয় করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে নৌ পুলিশের বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মদ খেয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভেজাল মদ পান না করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনার কারণে মদ আমদানি বন্ধ, যে কারণে ভেজাল মদের উৎপাদন বাড়ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল মদ বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে ধরতে ডিবি পুলিশ কাজ করছে। অনেকে ইতোমধ্যে ধরাও পড়েছে। যারা মদ্যপান করেন, তাদেরকে ভেজাল মদ পান না করার আহ্বান করছি।
এর আগে, আল জাজিরার সংবাদকে ভিত্তিহীন ও সন্ত্রাসী মদদপুষ্ট বলে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটিকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অরাজকতা তৈরির উদ্দেশ্যে অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের আগে থেকে মুক্তচিন্তা ও প্রগতিশীলতার বিপক্ষে থাকা শক্তি জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো সন্ত্রাসী দলের প্রচারণার অংশ মাত্র। এটি এক ধরনের সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং লন্ডনসহ অন্যান্য স্থানে তাদের সহযোগীদের ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশের উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার নীল নকশা হওয়ায় এ প্রতিবদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।
এমন সাইকোপ্যাথ বা মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষের কথায় সংবাদমাধ্যমটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তথা সংবাদটি প্রকাশ করার মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরও (আইএসপিআর) বিবৃতি দিয়েছে।