আগামীকাল সকালে সারা দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে আগামীকাল রোববার থেকে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।এরই মধ্যে সব জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে।সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এজন্য অনেক এলাকায় আজও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
যারা আগামীকাল রোববার টিকা নেবেন, তাদের কাছে আজ শনিবার বিকেলের মধ্যে মুঠোফোনে এসএমএস যাবে। কাল রোববার সকাল ৯টায় থেকে একযোগে ঢাকা ও সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। রাজধানী ঢাকায় ২০৪টি এবং সারা দেশে দুই হাজার ১৯৬টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের পরিচালক মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, নিবন্ধন না করা ব্যক্তিরাও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকলে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
বর্তমানে শুধু ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এবং মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত প্রথম সারির পেশাদারদের কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচির প্রথম পর্বে নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নাম দেশের সব টিকাকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।কেন্দ্র থেকে কোন দিন কারা টিকা নেবেন, সেটা নির্ধারণ করা হবে। এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জানা যায়, প্রথম দফায় ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।সরকারের হাতে এখনও ৭০ লাখ টিকা আছে।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী প্রথম শনাক্ত হয়।মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করে।
এ দিকে স্থানীয় মানুষের মধ্যে টিকাদানের উৎসাহ বাড়াতে জনপ্রতিনিধি, বিশেষ করে সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন নিজ নিজ এলাকায়।সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই যাঁর যাঁর নির্বাচনী এলাকায় আগামীকাল টিকা নেবেন বলেও প্রস্তুতি রয়েছে।অনেক এলাকায় মন্ত্রীরাও থাকবেন বলে জানা গেছে।